কথিত সের্স পরিচয়ে বিজিবির নামে চাঁদা আদায়কারী গুণধর পিতা -–পুত্রকে অবশেষে বিজিবির হাতেই গ্রেফতার হয়ে শ্রী ঘরে যেতে হল।’ তাহিরপুর উপজেলার লাউড়েরগড় বিওপির বিজিবির টহল দলের হাতে গ্রেফতারকৃতরা হল, উপজেলার বাদাঘাট উওর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী লাউড়েরগড় গ্রামের মৃত আবদুল বারেকের ছেলে কথিত বিজিবির সোর্স ও চিহ্নিত চাঁদা আদায়কারী আবদুর রাজ্জাক ও তার গুণধর পুত্র রফিকুল ইসলাম ।
সুনামগঞ্জ -২৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল নাসির উদ্দিন আহমদ পিএসসি জানান, সীমান্তনদী লাউড়েরগড়ের জাদুকাঁটা নদীর চরে অবৈধভাবে কোয়ারী খনন করে বালি পাথর উক্তোলকারীদের নিকট থেকে বিজিবির নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা আদায়কালে লাউড়েরগড় গ্রামের চিহ্নিত চাঁদাবাজ আবদুর রাজ্জাক ও তার ছেলে রফিকুলকে মঙ্গলবার সন্ধায় বিজিবির টহল দল গ্রেফতার করেন। এ সময় পিতা-পুত্রের সহযোগী কামড়াবন্দ গ্রামের রাজ্জাকের ছেলে ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়ধারী ইয়াবা কামাল ওরফে কালা কামাল পালিয়ে যায়। ’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের মো. সাইফুল ইসলাম ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে পিতা-পুত্রকে ১৫ দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন। লাউড়েরগড় আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল কাইয়ুম সহ একাধিক ব্যাক্তি অভিযোগ করেন, জাদুকাঁটা নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহের বন্ধ করে দিয়ে চিহ্নিত চাঁদা আদায়কারী পিতা-পুত্র জাদুকাঁটা নদীতে বালি পাথর লুটের জন্য প্রশাসন, বিজিবি, কথিত সমিতি ও জনপ্রতিনিধিদের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রায় ২’শ কোয়ারী থেকে গত তিন মাস পুর্বেই আগাম ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছে। পরবর্তীতে ওসব কোয়ারী থেকে দৈনিক হারে বিজিবি ও সমিতি, প্রশাসন ও থানা পুলিশের নামে ফের চাঁদা আদায়ে তৎপর ছিল।’ নদীর চরে চাঁদাবাজ চক্রের মুল গডফাদার সরকারি দলে থাকা পদবীবিহন এক সুবিধাভোগীর ইশারায় থানার ওসি প্রশাসনকে ম্যানেজ করতে রাতভর নানা তদবীরে ব্যস্ত হয়ে পড়েন বলেও এলাকায় নানা মহল থেকে গুঞ্জন উঠেছে।’ থানার ওসি শ্রী নন্দন কান্তি ধর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সাজাপ্রাপ্ত পিতা -পুত্রকে বুধবার সকালে জেল হাজাতে প্রেরণ করা হয়েছে।
##আবেগ রহমান, সুনামগঞ্জ-০১.০৩.১৭।